Here you will see the details of a News or Event

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে "অফিস ম্যানেজমেন্ট" প্রশিক্ষণ সম্পন্ন।

কুড়িগ্রাম, ২৩ জুন ২০২৫ – কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে "অফিস ম্যানেজমেন্ট" শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। আজ ২৩শে জুন, ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত, দক্ষ এবং ফলপ্রসূ করা। এর মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনার কৌশল এবং পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহ: রাশেদুল ইসলাম। তিনি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে অফিস ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং একটি সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থার অপরিহার্যতা তুলে ধরেন। উপাচার্য মহোদয় বলেন যে, আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা সম্ভব।

প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (IQAC)-এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. রজ্জব আলী। তিনি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে "অফিস ম্যানেজমেন্ট" এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইডের মাধ্যমে তিনি ফাইল ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া, সময় ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল অফিস ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের কৌশল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করেন।

এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে আরও বেশি পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং সমন্বয় গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।