কুড়িগ্রাম, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫: কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহ: রাশেদুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী আসনগ্রহণ করেন। অতঃপর কুরআন থেকে তিলাওয়াত এবং গীতা পাঠ করা হয়। প্রথম ব্যাচের এবং দ্বিতীয় ব্যাচের দুইজন শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভাবনা, পুঁথিগত শিক্ষার ক্ষতিকর দিক, নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং বড়োদের অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম তাঁর বক্তৃতায় কুড়িগ্রামের নদ-নদী, মাছের দেশীয় প্রজাতির দিনে দিনে কমে যাওয়া, মাছ এবং জলজ প্রাণী নিয়ে গবেষণা, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাছের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা (বিশেষ করে বিষমুক্ত মাছের খাবার) -সহ উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উপাচার্য মহোদয় তাঁর বক্তৃতায় প্রথমেই শিক্ষার্থীদের সুন্দর করে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান অগ্রজ-অনুজদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে এবং লেখাপড়ার পরিবেশকে উন্নত করে ও র্যাগিংয়ের মতো খারাপ বিষয় থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখে। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও অন্যান্য মানবিক গুণাবলি অর্জনের জন্য ৩টি ক্লাব খোলার বিষয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের যে-কোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক চালুকৃত সর্বক্ষণের জন্য হট-লাইন নম্বরসহ অনলাইন ফর্ম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ অভিযোগ বক্স –এর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি প্রয়োজনে সেগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, কুড়িকৃবির সকল শিক্ষক ৯টা-৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যে-কোনো শিক্ষামূলক কাজে সহায়তা করবেন। সর্বশেষ তিনি মৎস্য অনুষদের গুরুত্ব এবং মৎস্য বিষয়ক কর্মক্ষেত্র সমূহ ও গবেষণার ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি দেশীয় মাছের সংরক্ষণ এবং প্রজনন উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন, এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ মৎস্য বিজ্ঞানের শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণায় পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও উপাচার্য মহোদয় খাদ্য নিরাপত্তা ও নিশ্চিতকরণে বর্তমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তরিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য অনুষদ নিয়ে একটি ছোট নাটিকা মঞ্চস্থ হয়। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদের একটি দলগত গান এবং পরে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সবশেষে, উপাচার্য মহোদয়সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একটি গ্রুপ ছবি তোলেন।