আজ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য জনাব প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপাচার্য মহোদয়ের সাথে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব দেবদাস দত্ত মজুমদার (ধ্রুব), উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জনাব মোঃ আব্দুল কাদের জিলানী।
মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক সেই সময়ই দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে এই ঘাতক চক্র। হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার। তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকান্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন। বুদ্ধিজীবীরা দেশের জন্য, মানুষের জন্য, কল্যাণের জন্য সর্বোপরি স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আগামী দিনে দেশমাতৃকার প্রয়োজনে নতুন প্রজন্ম তাঁদের পথ অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের বড় শিক্ষা।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, যারা বা যাদের পূর্বসূরী বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত, তাদের গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।