Here you will see the details of a News or Event

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন।

কুড়িগ্রাম, ০৩ জুলাই ২০২৫ – গত ২৪শে জুন ২০২৫, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের বিএসসি (অনার্স) ইন ফিশারিজ লেভেল-১, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দিনব্যাপী ব্যবহারিক ফিল্ড ট্রিপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহ: রাশেদুল ইসলামের বিশেষ উদ্যোগে এই শিক্ষামূলক ভ্রমণটি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, পার্বতীপুর, দিনাজপুর-এ অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হাতে-কলমে ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া।

শিক্ষার্থীদের এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সফর পরিদর্শন ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহ: রাশেদুল ইসলাম স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন, তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। উপাচার্য মহোদয়ের গঠনমূলক পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণামূলক উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার আগ্রহ ও উৎসাহের সৃষ্টি করে, যা তাদের ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আরও মনোযোগী হতে অনুপ্রাণিত করে।

ফিল্ড ট্রিপ চলাকালীন, খামারের ব্যবস্থাপক মোঃ মাহফুজুল হক শিক্ষার্থীদের মাঝে মাছের কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু (লার্ভা) উৎপাদন প্রক্রিয়া হাতে-কলমে দেখান। শিক্ষার্থীরা হ্যাচারিতে অবস্থিত বিশেষায়িত ইনকিউবেটর, ব্রুডার পুকুর এবং নার্সারি পুকুর পরিদর্শন করার সুযোগ পান, যেখানে মাছের ডিম থেকে রেণু উৎপাদন এবং তাদের প্রাথমিক পরিচর্যার ধাপগুলো সরেজমিনে দেখানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন এবং অন্যান্য শিক্ষকগণ এই সফরসঙ্গী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং মাঠভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে।

এই ফিল্ড ট্রিপ শিক্ষার্থীদের মৎস্য বিজ্ঞান সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।